আদর্শ বিচ্যুতি বিষমতা নির্ণয়ের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পরিমাপ। যা S.D বা σ (সিগমা) চিহ্ন-এর দ্বারা প্রকাশ করা হয়ে। কোনো স্কোরগুচ্ছের গড় থেকে প্রাপ্ত প্রতিটি স্কোরের বিচ্যুতির বর্গের যোগফলকে মোট স্কোর সংখ্যা দিয়ে ভাগ করে যে ফল পাওয়া যায় তার বর্গমূলকে আদর্শ বিচ্যুতি বলে।
H. M. Blalock এর মতে, “The standard deviation is defined as the square root of the arithmetic mean of the squared deviations from the mean”.
σ = √∑x² ⁄ N
নিম্নে একটি সমস্যার সমাধান চিত্রের সাহায্যে দেখান হল-
বিন্যস্ত স্কোর থেকে আদর্শ বিচ্যুতি নির্ণয়ের সূত্রটি হল-
নিম্নে একটি সমস্যার সমাধান চিত্রের সাহায্যে দেখান হল-
আদর্শ বিচ্যুতির ব্যবহার :
১. আদর্শ বিচ্যুতি বিষমতার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পরিমাপ, সেহেতু নিখুঁত বিষমতার পরিমাপ জানার জন্য।
২. যখন স্কোরের বিভাজন স্বাভাবিক হয়ে।
৩. কোন পরিসংখ্যা বণ্টনের স্কোরের তাৎপর্য নির্ণয়ের ক্ষেত্রে।
৪. নমুনা যাচাই, উৎকর্ষ নিয়ন্ত্রন ও সংশ্লেষণ ও বিশ্লেষণে ব্যবহৃত হয়ে।
৫. কোন পরিসংখ্যানে গড় মান তার মধ্যমান পরিমাপে কুতটুকু নির্ভরযোগ্য পরিমাপ প্রদান করে তা যাচাই করার জন্য।
৬. গবেষণার প্রকল্প যাচাই এর ক্ষেত্রে আদর্শ বিচ্যুতি ব্যবহৃত হয়।
আদর্শ বিচ্যুতির সুবিধা :
১. আদর্শ বিচ্যুতির সংজ্ঞায় সম্পূর্ণতা ও স্পষ্টতা থাকায় বুঝতে সুবিধা হয়।
২. আদর্শ বিচ্যুতির ক্ষেত্রে গাণিতিক প্রক্রিয়ায় চিহ্ন বর্জন করা হয়।
৩. আদর্শ বিচ্যুতি পরিসংখ্যা বিভাজনের সকল তথ্যের উপর ভিত্তি করে নির্ণীত হয়।
৪. বিষমতার অন্যান্য পরিমাপের চেয়ে আদর্শ বিচ্যুতি নমুনা বিচ্যুতির দ্বারা কম প্রভাবিত হয়।
৫. চলকের মান সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তাও এর মাধ্যমে যানা যায়।
আদর্শ বিচ্যুতির আসুবিধা :
১. এর গননা বিষমতার অন্যান্য পরিমাপের তুলনায় কঠিন।
২. আদর্শ বিচ্যুতি নির্ণয় করতে বিচ্যুতির বর্গ ও বর্গমূল নির্ণয়ে অধিক সময় ও গাণিতিক জ্ঞানের প্রয়োজন হয়।
৩. আদর্শ বিচ্যুতি প্রান্তিক মান ও অস্বাভাবিক মান দ্বারা প্রভাবিত হয়।
৪. লুপ্ত পরিসংখ্যা বিশিষ্ট বিভাজনে এটি প্রয়োগ করা যায় না।
__________________________