Kd's e-pathsala Research Methodology সহ-সম্পর্কীয় গবেষণা (Correlational Research)

সহ-সম্পর্কীয় গবেষণা (Correlational Research)



সহ-সম্পর্কীয় গবেষণা (Correlational Research) হল এক ধরনের গবেষণা পদ্ধতি, যেখানে দুটি চলকের (variables) মধ্যে পরিসংখ্যানগতভাবে সংশ্লিষ্ট সম্পর্ক স্থাপন করা হয় এবং তা পর্যবেক্ষণ করা হয়। সহ-সম্পর্কীয় গবেষণার লক্ষ্য হল এমন চলকগুলি (variables) সনাক্ত করা যেগুলির মধ্যে একটির পরিবর্তন অন্যটিতে কিছু পরিবর্তন আনতে সক্ষম, এবং এই প্রকার গবেষণা সেই পরিবর্তনের ধরণ নিয়ে আলোচনা করে।

সহ-সম্পর্কীয় গবেষণা (Correlational Research) হল এক ধরনের অ-পরীক্ষামূলক গবেষণা পদ্ধতি যেখানে একজন গবেষক দুটি চলকের (variables) পরিমাপ করেন এবং তাদের মধ্যে পরিসংখ্যানগত সম্পর্ক বোঝেন এবং মূল্যায়ন করেন কোনো বহিরাগত পরিবর্তনশীলের প্রভাব ছাড়াই।

Correlational research Example

সহগতির সহগাঙ্ক দুটি ভেরিয়েবলের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক দেখায় (সহগতির সহগাঙ্ক একটি পরিসংখ্যানগত পরিমাপ যা দুটি চলকের (variables) মধ্যে সম্পর্কের শক্তি গণনা করে), একটি মান -1 এবং +1 এর মধ্যে পরিমাপ করা হয়। যখন পারস্পরিক সম্পর্ক সহগ +1 এর কাছাকাছি হয়, তখন দুটি চলকের (variables) মধ্যে একটি ইতিবাচক সম্পর্ক থাকে। যদি মানটি -1 এর সাথে আপেক্ষিক হয় তবে দুটি চলকের (variables) মধ্যে একটি নেতিবাচক সম্পর্ক রয়েছে। যখন মানটি শূন্যের কাছাকাছি থাকে, তখন দুটি চলকের (variables) মধ্যে কোনো সম্পর্ক থাকে না।

Types of correlational research

সহ-সম্পর্কীয় গবেষণা (Correlational Research)-কে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যথা-

  1. Positive correlation: দুটি চলকের মধ্যে একটি ইতিবাচক সহ-সম্পর্ক হল যখন একটি চলকের বৃদ্ধি অন্য চলককে বৃদ্ধির দিকে নিয়ে যায়। একটি চলকের হ্রাস অন্য চলকের হ্রাসের কারণ হয়। উদাহরণস্বরূপ, একজন ব্যক্তির যে পরিমাণ অর্থ রয়েছে তা ব্যক্তির মালিকানাধীন গাড়ির সংখ্যার সাথে ইতিবাচকভাবে সম্পর্কযুক্ত হতে পারে।
  2. Negative correlation: একটি নেতিবাচক সহ-সম্পর্ক আক্ষরিক অর্থে একটি ইতিবাচক সম্পর্কের বিপরীত। একটি চলকের বৃদ্ধি হলে, দ্বিতীয় চলকের হ্রাস এবং তদ্বিপরীত পরিণতি হয়। উদাহরণ স্বরূপ, শিক্ষিত ব্যক্তির হারের সাথে অপরাধপ্রবণ বৃদ্ধির হার নেতিবাচকভাবে সম্পর্কযুক্ত হতে পারে যখন একটি পরিবর্তনশীল বৃদ্ধি অন্যটি হ্রাসের দিকে নিয়ে যায় এবং এর বিপরীতে। একটি দেশে শিক্ষার স্তর উন্নত হলে তা অপরাধের হার কমাতে সাহায্য করে। দয়া করে মনে রাখবেন যে এর অর্থ এই নয় যে শিক্ষার অভাব অপরাধের দিকে পরিচালিত করে। এর অর্থ শুধুমাত্র শিক্ষার অভাব এবং অপরাধের একটি সাধারণ কারণ – দারিদ্র্য বলে মনে করা হয়।
  3. No correlation: এই তৃতীয় প্রকারের দুটি চলকের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই। একটি চলকের পরিবর্তন অন্য চলকের উপর কোনো প্রভাব ফেলে না। উদাহরণস্বরূপ, কোটিপতি হওয়া এবং সুখের সম্পর্ক নেই। অর্থ বৃদ্ধি সুখের দিকে পরিচালিত করে না।

___________________________

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *