সাইকোড্রামা একটি কর্মভিত্তিক পদ্ধতি, প্রায়শই এটি সাইকোথেরাপি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যেখানে ক্লায়েন্ট স্বতঃস্ফূর্ত নাটকীয়তা, ভূমিকা বা অভিনয় এবং নাটকীয় স্ব-উপস্থাপনা ব্যবহার করে তাদের জীবন তদন্ত এবং অন্তর্দৃষ্টি অর্জন করে।
জ্যাকব.এল.মোরানো দ্বারা বিকশিত সাইকোড্রামা তত্ত্বে থিয়েটারের সমস্ত রসদ রয়েছে। এখানে ব্যক্তি তার বর্তমান অবস্থা যা অতীত দ্বারা প্রভাবিত এবং কিভাবে তার ভবিষ্যৎ জীবনকে প্রভাবিত করে চলেছে তা তিনি বিভিন্ন নাটকীয় অভিনয়ের মাধ্যমে মঞ্চস্থ করেন। এক্ষেত্রে নাটকীয় উপস্থাপনা থেকে রোগীর বর্তমান অবস্থার মূল্যায়ন এবং সমস্যার কারণ ও সেটি কতটা তার জীবনে প্রভাব বিস্তার করেছে তা চিকিৎসক গভীরভাবে বুঝতে পারেন।
সাইকোড্রামা কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর জন্য ব্যক্তিগত সমস্যাগুলি অন্বেষণ এবং সমাধান করার জন্য একটি সৃজনশীল উপায় সরবরাহ করে। এটি বিভিন্ন ক্লিনিক্যাল এবং সাম্প্রদায়িক যেকোনো পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই প্রকার পদ্ধতিগুলি অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ জীবনের ইভেন্টগুলি অন্বেষণ করতে সক্ষম করতে ব্যবহৃত হয়।সাইকোড্রামা নিরাপদে নতুন ভূমিকা অনুশীলন করার সুযোগ দেয়, বাইরের থেকে নিজেকে দেখে, অন্তর্দৃষ্টি এবং পরিবর্তন লাভ করে।
সাইকোড্রামা-এর সুবিধা
সাইকোড্রামা হল একপ্রকার শক্তিশালী অভিজ্ঞতা, কারণ এটি বাস্তব বা প্রকৃত সময়ভিত্তিক চিকিৎসা প্রদান করে থাকে। এটি তথাকথিত টকথেরাপির একটি পরিবর্তিত উন্নতরূপ। এর সুবিধাগুলি হল–
১) ব্যক্তির মধ্যে যোগাযোগের ক্ষমতার বিকাশ ও সামাজিক সম্পর্কের উন্নতি ঘটায়।
২) যেকোনো বিষাদ ও ক্ষতির প্রভাব কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে।
৩) অত্মবিশ্বাস ও আত্মনির্ভরতা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে।
৪) জীবন শৈলী ও শিখন দক্ষতার উন্নতিকরণ।
৫) নিরাপদ, সহায়ক পরিবেশে ব্যক্তির অনুভূতি প্রকাশের সুযোগ করে দেয়।
৬) আচরণ ও চিন্তার বিভিন্ন দিকগুলিকে খুলে দেয় এবং কোনটি তার পক্ষে মঙ্গলজনক তার নির্বাচনের নৈতিক ভিত্তির বিকাশ ঘটায়।
৭) ব্যক্তির নিজ মঙ্গল অমঙ্গল চিন্তার মধ্যে পার্থক্য নির্ধারণ ক্ষমতার বিকাশ ঘটায়।
৮) ব্যক্তিকে উন্মুক্ত পরিবেশে ক্রিয়া-কলাপ করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করে।
_________________________________________