Kd's e-pathsala Great Educator মহান শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক বেগম রোকেয়া

মহান শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক বেগম রোকেয়া



বেগম রোকেয়া (১৮৮০-১৯৩২)

বাংলার আকাশে নারী মুক্তির পায়রা হয়ে অবতীর্ণ হয়েছিলেন বেগম রোকেয়া। তিনি ছিলেন নারী জাগরণের আগ্রদূত, একজন মহান শিক্ষাবিদ এবং সমাজ সংস্কারক। বাংলার বুকে যে সকল দিকপাল সাহিত্যিক, সমাজ সংস্কারক এবং শিক্ষাবিদ আজও স্মরণীয় হয়ে আছেন, তাদের মধ্যে একজন হলেন বেগম রোকেয়া। তিনি তাঁর শিক্ষাচিন্তা এবং শিক্ষাদর্শন দ্বারা বাংলার শিক্ষাক্ষেত্রকে প্রভাবিত করেছেন। আজকের এই আলোচনায় আমরা বেগম রোকেয়ার উপরোক্ত দিকগুলি তুলে ধরার চেষ্টা করবো।

 
সংক্ষিপ্ত জীবনী
বেগম রোকেয়ার জন্ম ৯ই ডিসেম্বর ১৮৮০ সালের রংপুর জেলার পায়রাবন্দ গ্রামের এক অভিজাত বংশে। তাঁর পিতার নাম জহীরুদ্দিন মোহাম্মদ আবু আলী হায়দার সাবের, ছিলেন একজন শিক্ষিত জমিদার। তাঁর মাতার নাম রাহাতুন্নেসা সাবেরা চৌধুরানী। জহীরুদ্দিন মোহাম্মদ আবু আলী হায়দার সাবের চার স্ত্রীর মধ্যে প্রথমা ছিলেন রাহাতুন্নেসা সাবেরা চৌধুরানী। রোকেয়ার বড় ভাই ইব্রাহিম সাবের এবং দুই বোন করিমুননেসা ও হুমায়রা। বাঙালি মুসলমান সমাজ যখন সামাজিক কুসংস্কার ও ধর্মীয় প্রতিবন্ধকতায় আবদ্ধ ছিল। তার পিতা আবু আলী হায়দার সাবের বিভিন্ন ভাষায় পারদর্শী হলেও মেয়েদের শিক্ষার ব্যাপারে ছিলেন রক্ষণশীল। বড় দুই ভাই বোনের সহযোগিতায় তিনি গোপনে শিক্ষালাভ ও সাহিত্যচর্চা করেন। সেহেতু তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ ঘটেনি। রোকেয়ার শিক্ষার সূচনা ঘটে মোমবাতির আলোকে বড় ভাই ইব্রাহিম সাবেরের তত্ত্বাবধানে। তিনি তাঁর ভাইবোনের অনুপ্রেরণাতেই বিভিন্ন ভাষা শেখেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করেন। তিনি সর্বদাই ঘরের চার দেওয়ালের বাইরে মুক্ত আকাশে শিক্ষালাভ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর এই স্বপ্ন কোনোদিনও পূরণ হয়নি। কিন্তু তাঁর সার্থকতা এখানেই যে, যখন সমগ্র মুসলমান নারী সমাজ কুসংস্কারে আবদ্ধ ঠিক সেই সময়ে তিনি শিক্ষাচর্চা ও জ্ঞান আহরণে মগ্ন ছিলেন। ১৮৯৮ সালে বিহারের ভাগলপুরের সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।তিনি ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন ছিলেন একজন উদার মানসিকতাসম্পন্ন ব্যক্তি।স্বামীর সুদূরপ্রসারী প্রভাবের কারণেই তার জ্ঞানচর্চার পরিধি বিস্তৃত হয় । ইংরেজি ভাষার দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি দেশ-বিদেশে লেখকদের রচনা সাথে পরিচিতি ঘটতে থাকে। ১৯০৯ সালে স্বামী মারা গেলে বেগম রকেয়া নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন। এবং তাঁর মৃত্যু হয় ৯ ডিসেম্বর ১৯৩২, কলকাতা (ব্রিটিশ ভারত)।
 

 
জীবনদর্শন

বাঙালি মুসলমান সমাজ যখন সামাজিক কুসংস্কার ও ধর্মীয় প্রতিবন্ধকতায় আবদ্ধ ছিল তৎকালীন নারী সমাজের শিক্ষার আলো নিয়ে এসেছিলেন নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া। আর তৎকালীন সমাজব্যবস্থায় ঘরের বাইরে গিয়ে মেয়েদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষালাভেরও কোন সুযোগ ছিল না। বেগম রোকেয়া সেরুপভাবে শিক্ষার সুযোগ পাননি, কিন্তু মায়ের সাথে কলকাতায় থাকা কালীন আল্প বিস্তর শিক্ষা অর্জন করলেও সমাজের চাপে তা বেশি দূর বিস্তৃত হতে পারেনি। তাঁর শিক্ষালাভ ও মূল্যবোধ গঠন বড় ভাই ও বোন দুই’য়ের হাত ধরে সূচনা হলেও,  রোকেয়ার জীবনকে প্রভাবিত করে তাঁর আসল লেখাপড়া শুরু হয়েছিল বিয়ের পর স্বামীর সাহচর্যে। তাঁর স্বামী ছিলেন খুব শিক্ষিত ও উদার মনের মানুষ। সেহেতু বিবাহ পরবর্তী জীবনে তাঁর জীবনে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা ঘটে। কলকাতায় অধ্যাপিকা, গবেষক ও রোকেয়া সাহিত্য সমগ্রের সম্পাদক ড. মীরাতুন নাহার বলেন বেগম রোকেয়া খুব সুন্দরী ছিলেন এবং তাঁর বিয়ে হয়েছিল খুব কম বয়সে। “তাঁর স্বামী ছিলেন খুব উদার মনের মানুষ এবং খুবই শিক্ষিত ব্যক্তি। বেগম রোকেয়া কিছুটা উর্দু তো আগেই শিখেছিলেন। বিয়ের পর সেই শিক্ষা তাঁর উর্দুভাষী স্বামীর সহায়তায় আরও প্রসার লাভ করল। এবং স্বামীর কাছ থেকে ইংরেজিতে খুব ভাল দক্ষতা অর্জন করলেন। সুন্দর ইংরেজি রচনা করতে পারতেন তিনি।”

 
 
শিক্ষাদর্শন
বেগম রোকেয়ার শিক্ষাদর্শন তাঁর বিভিন্ন সাহিত্য, লেখনীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল। তাঁর শিক্ষাদর্শনের একটা বড় অংশ জুড়ে ছিল বাংলার মুসলিম নারী সমাজ। এবং তাঁর লেখনীতে মুসলিম মেয়েদের অধিকার অর্জনের কথাই বার বার ঘুরে ঘুরে এসেছে। তিনি তাঁর লেখনীতে তৎকালীন বাংলার নারী জাতির উত্থান এবং তাদের বর্তমান পরিস্থিতির হাল হকিকত নিয়ে সবিস্তারে আলোচনা করেছেন। এবং তিনি আজীবন বাংলার কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধকার জীবন হতে নারীদের উত্থানের চেষ্টা করে গেছেন। 
 
 
সাহিত্য জীবন
১৯০২ সালে নভপ্রভা পত্রিকায় ‘পিপাসা’ প্রকাশের মাধ্যমে সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতি পান। ১৯৫০ সালে মাদ্রাজ থেকে প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য রচনা ‘Sultana’s Dream’, যার অনূদিত রূপ ‘সুলতানার স্বপ্ন’ প্রকাশের মাধ্যমে তিনি সর্বজন পরিচিত হয়ে ওঠেন। এটিকে বিশ্বের নারীবাদী সাহিত্যে একটি মাইলফলক ধরা হয়। তার অন্যান্য গ্রন্থ হলো- পদ্মরাগ, অবরোধবাসিনী, মতিচুর।প্রবন্ধ, গল্প, উপন্যাসের মধ্য দিয়ে তিনি নারীশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা আর লিঙ্গসমতার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। হাস্যরস আর ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের সাহায্যে পিতৃতান্ত্রিক সমাজে নারীর অসম অবস্থান ফুটিয়ে তোলেন তিনি।
 
কর্মজীবন 
স্বামীর মৃত্যুর পর নিঃসঙ্গ রোকেয়া নারীশিক্ষা বিস্তার ও সমাজসেবায় আত্মনিয়োগ করেন। তিনি একজন মহান শিক্ষাবিদ, সমাজসংস্কারক, সাহিত্যিক ও সংগঠক। তিনি তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পর নানান কাজে মনোনিয়োগ করেন। আজ থেকে শত বছরেরও পিছনে ভারতবর্ষে বিশেষত বাংলার নারীর জীবন বিকশিত করার ধারণা ছিল এক অসম্ভব কল্পনা। তৎকালীন মুসলিম সমাজ ছিল চূড়ান্ত রক্ষণশীল, কিছু ক্ষেত্র ছাড়া বা বলা যেতে পারে কিছু পরিবার ছাড়া আধিকাংশ বাড়ির মেয়েদের একাকি বাইরে বেড়ানো বা বাইরের লোকের সাথে কথাবার্তা বলা নিষিদ্ধ ছিল। তিনি সেই মেয়েদের উদ্ধার কার্যে নিজ জীবনকে নিয়োগ করেছিলেন। এছাড়া তিনি বাংলার বিপ্লবীদের নানান কাজে সহায়তা করতেন এবং বেশকিছু সামাজিক কাজ ও করতেন। এছাড়া নিত্য পড়াশুনা ও লেখালেখি ছিল তাঁর জীবনের এক অঙ্গ। কিন্তু তাঁর কর্মজীবনের একটা বড় অংশ জুড়ে আছে নারীশিক্ষার বিস্তার।
 
 
বেগম রোকেয়া ও নারীশিক্ষা
বাণী দত্ত বলেছেন, বেগম রোকেয়া নিজের সব সুখ স্বাচ্ছন্দ্য বিসর্জন দিয়ে তাঁর স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন, যেটি আজ কলকাতার একটি নামকরা মেয়েদের সরকারি স্কুল -সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গালর্স হাই স্কুল। স্কুলটি তিনি প্রথম শুরু করেন ভাগলপুরে ১৯০৯ সালের পয়লা অক্টোবর। তারপর পারিবারিক কারণে বেগম রোকেয়া ভাগলপুর ছেড়ে কলকাতায় এসে বসবাস শুরু করেন এবং ১৯১১ সালের ১৬ই মার্চ কলকাতার ১৩ নং ওয়ালিউল্লাহ লেনের একটি বাড়িতে নতুন পর্যায়ে প্রতিষ্ঠা করেন ‘সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল’। আটজন ছাত্রীকে নিয়ে শুরু হয়েছিল কলকাতায় সাখাওয়াত মেমোরিয়াল স্কুলের যাত্রা। ধর্ম এবং সমাজের অনেক রীতিনীতি বেগম রোকেয়া মেনে নিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু একটা রক্ষণশীল পরিবারে বড় হয়ে ওঠার পরেও তিনি সমাজের প্রচলিত ব্যবস্থাগুলোকে উপেক্ষা করে এগোতে পেরেছিলেন, বলেছেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আয়েষা খানম (বর্তমানে সংস্থার সভাপতি)। “তাঁর সমস্ত কিছুর মাঝে যে একটা প্রচণ্ড ধরনের বিদ্রোহ ছিল- প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থা, নারীর প্রচলিত অবস্থান, নারীর প্রতি তৎকালীন সমাজের প্রচলিত যে দৃষ্টিভঙ্গি -এসব কিছু নিয়ে সমাজের বিবেককে তিনি চাবুক দিয়ে কষাঘাত করেছিলেন।” সারা জীবন তিনি পিছিয়ে থাকা নারী সমাজকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে পরিপূর্ণ মানুষ হিসাবে অধিকার সচেতন করে তোলার প্রয়াস নিয়েছিলেন। সারা জীবন নারী মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন বেগম রোকেয়া। নারী জাতি এবং অর্থনৈতিক সাবলম্বন বিষয়ে তাঁর এক প্রবন্ধে তিনি নারী পুরুষের সমকক্ষতার যে আর্দশের কথা লিখে গেছেন তা আজকের দিনে নারী সমাজের জন্য একটা আদর্শ। তিনি জন্মেছিলেন সময়ের অনেক আগে। “তাঁর অসামান্য একটা দূরদৃষ্টি ছিল। যার পরিচয় আমরা পাই তাঁর ‘সুলতানার স্বপ্নে’ যেখানে তিনি বলেছিলেন -যাহা যাহা পুরুষ পারিবে, তাহাই নারী পারিবে। সেখানে ছিল একটা অসাধারণ স্বপ্ন যে নারীরা রাষ্ট্র পরিচালনা করছে,” বলেন আয়েষা খানম। তাঁর লেখায় বর্ণিত রণকৌশল, রান্নার কৌশল, যানবাহন সবই সময়ের তুলনায় ছিল অনেক এগিয়ে। “বেগম রোকেয়া বলেছিলেন মনে হয় ধর্ম গ্রন্থগুলো পুরুষের দ্বারা লিখিত। যা কিছু লেখা হয়েছে সবই নারীর বিপক্ষে। নীতি, প্রথা, দৃষ্টিভঙ্গি, আইন সর্বত্রই নারীর পক্ষে যে খুব কম কথা বলা হয়েছে সেটা তিনি তুলে ধরেছিলেন।”
 

 
শিক্ষায় অবদান
বেগম রোকেয়া কোনো কিছু মুখস্থ করাকে ঘৃণার চোখে দেখতেন। এমনকি মুসলমান মেয়েদের পবিত্র কোরআনের মর্মবাণী উপলব্ধি না করে মুখস্থ করাকেও তিনি সুনজরে দেখেননি। ধর্ম শিক্ষায় পবিত্র কোরআনের মর্মার্থ অনুশীলন ও অনুধাবনের ওপর তিনি জোর দিয়েছেন। নীতি শিক্ষা ও চরিত্র গঠনের শিক্ষায় তিনি আচরণ অনুশীলনের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে তিনি ব্যবহারিক কাজের ওপর বেশি জোর দিয়েছেন। তাঁর মতে, মিথ্যা ইতিহাস বা ইতিহাসের নিরেট ঘটনা পাঠ নয়; বরং ইতিহাসকে জীবনের ধারার সঙ্গে মিলিয়ে পাঠ করা এবং তা থেকে দেশপ্রেম শিক্ষা ও স্বাধীনতার প্রেরণা লাভ করা প্রয়োজন। বিজ্ঞানকেও তেমনি ব্যবহারিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার কথা বলেন তিনি। ‘সুলতানার স্বপ্ন’ বইয়ে তাঁর কল্পনার নারীকে বিজ্ঞানের জ্ঞান সম্প্রসারণে সব সময় পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ব্যস্ত রেখেছেন। নিজের প্রতিষ্ঠানেও বিজ্ঞান শিক্ষার ক্ষেত্রে এ ব্যবহারিক দিকের ওপরই জোর দিয়েছেন তিনি।

 

বেগম রোকেয়ার অসামান্য অবদানের জন্য তিনি এখনো সর্বজন স্মরণীয় হয়ে আছেন। বেগম রোকেয়া ১৩৭ তম জন্মদিনে গুগল তার নামে একটি ডুডল তৈরি করে। ২০০৮ সালের ৮ অক্টোবর রংপুর বিভাগের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রংপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়, যা ২০০৯ সালে “বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়” হিসেবে নামকরণ করা হয়। বেগম রোকেয়া ছিলেন আত্মশক্তিতে বলীয়ান। অনেক দুঃখের বোঝা মাথায় নিয়েও দিয়ে কখনো অসহায় ভাবেননি। নারী শিক্ষার গুরুত্ব তিনি তার নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকেই বুঝেছিলেন। তিনি কখনোই নারীতান্ত্রিক কিংবা পুরুষতান্ত্রিক সমাজ গড়ে তুলতে চাননি। তিনি চেয়েছিলেন নারী ও পুরুষ উভয়ের যাতে সমান মর্যাদা ও অধিকার নিয়ে বাঁচেন। তার কবর উত্তর কলকাতার সোদপুরে অবস্থিত যা পরবর্তীকালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক অমলেন্দু দে আবিষ্কার করেন।

 

সহায়ক গ্রন্থপঞ্জি-
  • www.wikipedia.org/ https://bn.wikipedia.org/wiki/বেগম_রোকেয়া
  • Netaji Subhash Open University. study material. http://www.wbnsou.ac.in/online_services/SLM/PG/PGED-08-Bengali-Mod-1-2-E3.pdf
  • বেগম রোকেয়া : নারী জাগরণের আগ্রদূত। https://www.jagonews24.com/feature/news/628458
  • আখন্দ, ইয়ামিন। বেগম রোকেয়া : নারী জাগরণের আগ্রদূত। নিউজ ভিশন বিডি। https://newsvisionbd.com/বেগম-রোকেয়া-নারী-জাগরণের/
___________________________

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *