Kd's e-pathsala Introduction to Education শিক্ষার সংস্থার ধারণা, শিক্ষার সংস্থা হিসেবে ক্লাবের ভূমিকা

শিক্ষার সংস্থার ধারণা, শিক্ষার সংস্থা হিসেবে ক্লাবের ভূমিকা



শিক্ষার সংস্থা হিসেবে গৃহ, বিদ্যালয় এবং রাষ্ট্র সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু আধুনিক যুগে কিছু সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন রয়েছে যা ব্যক্তির শিক্ষাগত বিকাশে প্রভাব ফেলে। শিক্ষা সামাজিক যোগাযোগ ছাড়া আর কিছুই নয়। বিভিন্ন গণযোগাযোগ মাধ্যম এই ধরনের সামাজিক মিথস্ক্রিয়া প্রচারে সাহায্য করে। তাই এগুলিকে শিক্ষা সংস্থা হিসেবেও গণ্য করা হয়।

According to Josephine Brew,- The club at its best creates a society of personalities with a community sense, which is the essence of good citizenship… We are not concerned with the making of ‘good club members’ or ‘well-organized youth groups’, but with a much wider issue, the making of good citizens. This can only be done in a society where each member is important, where each one is given a chance to contribute something to the life of the group – the leader no more and no less than the member. It is for this reason that self-government is so important in club work.

প্রতিটি সমাজে কিছু ছোট সংগঠন ও সমিতি থাকে। এই সংগঠনগুলো ব্যক্তির সামাজিক-সাংস্কৃতিক চাহিদা পূরণ করতে পারে। একটি ক্লাব বিভিন্ন উপায়ে শিক্ষা প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। এইগুলো হল:

 

  1. নতুন বন্ধুদল গঠন :- ক্লাব সংস্কৃতিতে যোগদানে একজন ব্যক্তি অনেক নতুন নতুন ব্যক্তির সংস্পর্শে আসে। এক্ষেত্রে অনেক নতুন নতুন বিষয়ে জ্ঞান আহরণ সম্ভব হয় ও এছাড়া নতুন বন্ধুদল তৈরি হয়। আপনি বিভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ডের লোকদের সাথেও দেখা করতে পারেন যাদের সাথে আপনার আগে যোগাযোগ করার সুযোগ নাও থাকতে পারে।
  2. আত্মবিশ্বাস অর্জন :- একটি বিশেষ প্রকল্প সম্পূর্ণ করা, একটি কঠিন সঙ্গীত বাজানো, বা একটি দলের মূল্যবান সদস্য হওয়া আপনাকে আত্মসম্মান অর্জনে সাহায্য করতে পারে। সম্ভবত আপনি স্কুলে অন্যান্য ছাত্রদের মতো একাডেমিকভাবে মেধাবী নন; একটি ক্লাব বা অন্যান্য কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে, আপনি এমন কিছুতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করার সুযোগ পান যা একজন ব্যক্তি উপভোগ করবেন।
  3. দৈনন্দিন চাপের উপশমে :- অনেক ক্লাবে সংঘটিত বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপে একটি স্বস্তিদায়ক পরিবেশের সৃষ্টি হয়, যা দৈনন্দিন চাপের নিরাময়ে সহায়ক। তাই স্কুলে ও অফিসে একটি ব্যস্ত দিনের পরে কর্মের কিংবা পরাশুনার চাপ কিংবা মন খারাপ ইত্যাদি ভুলে, ক্লাবে কিছুটা নিজের পছন্দ মত সময় কাটানো মন্দ নয়।
  4. বাস্তব জগতের দক্ষতা আয়ত্তকরণে :- অনেক পাঠক্রম বহির্ভূত কার্যকলাপ বাস্তব জগতের দক্ষতা শেখার সুযোগ করে দেয়। স্কুল সংবাদপত্রে যোগদান আপনাকে সময়োপযোগী সংবাদ, গল্প লেখার অভিজ্ঞতা প্রদান করে; বিতর্ক ক্লাব প্ররোচনা এবং আলোচনার দক্ষতা শেখায়; যা সৃজনশীলতা, কম্পিউটার এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করে।
  5. সময় ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বিকাশ :- বিদ্যালয় জীবন, কর্মজীবন এবং পারিবারিক জীবন চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। ক্লাব এবং অন্যান্য ক্রিয়াকলাপগুলিতে যোগদানে কিংবা পরিচালনায় নানারূপ পরিকল্পনা, ব্যবস্থাপনা এবং বাস্তবায়নে একজন ব্যক্তির নানান দিকের বিকাশ ঘটে। 
  6. মেধার বিকাশ :- সমিতি মাঝে মাঝে বক্তৃতা, বিতর্ক, সেমিনার, আলোচনা এবং ভ্রমণের আয়োজন করে। এগুলি তাদের সদস্যদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে এবং বিভিন্ন শিক্ষাগত অভিজ্ঞতা অর্জনে সহায়তা করে।
  7. নৈতিক মূল্যবোধের বিকাশ :- ক্লাব হল এমন একটি সংস্থা যেখানে প্রত্যহ বহু সভ্য একত্রিত হয়ে বিভিন্ন তত্ত্বগত আলোচনা করে থাকেন। এক্ষেত্রে একে অপরের সাথে আলোচনায় নৈতিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটে। 
  8. গণতান্ত্রিক আদর্শের সঞ্চার :- ক্লাবের সকল সদস্যরা নানান সাংস্কৃতিক ক্ষেত্র থেকে আসে, এক্ষেত্রে প্রত্যেকের রীতি নীতি, আদর্শ, প্রথা, ভাষার প্রতি প্রাধান্য এবং সন্মান প্রদর্শনে ক্লাবের প্রত্যেক ব্যাক্তির মধ্যে গণতান্ত্রিক আদর্শের সঞ্চার হয়ে থাকে।
_____________________________________