Kd's e-pathsala Guidance and Counselling পরামর্শদানের বিভিন্ন কৌশল এবং নির্দেশনা ও পরামর্শদানের মধ্যে পার্থক্য

পরামর্শদানের বিভিন্ন কৌশল এবং নির্দেশনা ও পরামর্শদানের মধ্যে পার্থক্য



পরামর্শদান মনোবিজ্ঞানের একটি ফলিত শাখা। বিভিন্ন মনোবৈজ্ঞানিক নীতি ও পদ্ধতির উপর পরামর্শদান নির্ভরশীল। কোন ওষুধপত্র প্রয়োগ না করে, শুধুমাত্র কথাবার্তা কিংবা আলাপ-চারিতার মধ্যেদিয়ে এই প্রক্রিয়ায় সমস্যা নিরসনের চেষ্টা করা হয়ে থাকে। কিন্তু ব্যক্তির প্রয়োজন অনুযায়ী এই কৌশল পৃথক পৃথক হয়ে থাকে। এবং কিছু ক্ষেত্রে তা লক্ষণের ধরন ও তীব্রতার উপরও নির্ভর করে। মনোবিজ্ঞানের অভিধানে এই কৌশল প্রধানত তিন প্রকার। যথা- 

  1. প্রত্যক্ষ পরামর্শদান (Directive Counselling)
  2. পরোক্ষ পরামর্শদান (Non-directive Counselling)
  3. সমন্বয়ী পরামর্শদান (Eclectic Counselling)

 

প্রত্যক্ষ পরামর্শদান (Directive Counselling)

পরামর্শদানের যে প্রকার কৌশলে, পরামর্শদাতা পরামর্শগ্রহীতার আগ্রহ ও অনুভূতির দিকটিকে উপেক্ষা করে তার সমস্যার উপর অধিক গুরুত্ব অরোপ করে থাকে, তাকে বলে প্রত্যক্ষ পরামর্শদান। E. G. Williamson এই প্রকার কৌশলের প্রবক্তা। এই প্রকার কৌশলে পরামর্শদাতা পরামর্শদান পদ্ধতির পরিকল্পনা করে থাকেন, সেহেতু একে পরামর্শদাতাকেন্দ্রিক কৌশল বলা হয়ে থাকে। 

Arbuckle এর মতে, প্রত্যক্ষ পরামর্শদানের মধ্যেদিয়ে একজন ব্যক্তি কিভাবে তার সমস্যার সমাধান করবে তা শিখতে সহায়তা করে।

 

প্রত্যক্ষ পরামর্শদান সম্পর্কে আরও বিস্তারিত ধারণা আয়ত্ত্ব করতে হলে, এর বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করা প্রয়োজন, যেগুলি নিম্নে উল্লেখ করা হল-

  1. প্রত্যক্ষ পরামর্শদান হল পরামর্শদাতাকেন্দ্রিক। এখানে পরামর্শগ্রহীতার আগ্রহ ও অনুভূতির দিকটিকে উপেক্ষা করে তার সমস্যার উপর অধিক গুরুত্ব অরোপ করে থাকে।
  2. প্রত্যক্ষ পরামর্শদান প্রক্রিয়ায় পরামর্শগ্রহীতার তুলনায় পরামর্শদাতার ভূমিকা অধিক সক্রিয়।
  3. পরামর্শদাতা সমগ্র পরিকল্পনা রচনা করেন এবং পরামর্শগ্রহীতা শুধুমাত্র তা অনুসরণ করে মাত্র। 
  4. পরামর্শদাতার নিয়ন্ত্রণে সমগ্র প্রক্রিয়াটি পরিচালিত হয়ে থাকে।
  5. সমগ্র প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিতভাবে সংগঠিত হয়ে থাকে।
  6. এই ধরনের কৌশলে পরামর্শদাতার অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা প্রধান হয়ে দাঁড়ায়। পরামর্শদাতা যদি উপযুক্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত না হন, সেক্ষেত্রে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াতে সাফল্য আসার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ হয়ে থাকে।
 

প্রত্যক্ষ পরামর্শদানের বিভিন্ন স্তর 

E. G. Williamson প্রত্যক্ষ পরামর্শদানের ক্ষেত্রে ছয়টি স্তরের উল্লেখ করেছেন, যে গুলি নিম্নে উল্লেখ করা হল- 

 
 

প্রত্যক্ষ পরামর্শদানের সুবিধা

  1. এই প্রকার কৌশলে সময়ের সাশ্রয় হয়।
  2. এই প্রকার কৌশলে রোগীর এবং তার সমস্যার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়ে থাকে।
  3. পরামর্শদাতা রোগীর অনুভূতিমূলক দিকের চেয়ে, বৌদ্ধিক দিকে অধিক গুরুত্ব দেওয়ায় দিক ভ্রষ্টতার সম্ভাবনা কমে যায়।
  4. অনেক ব্যক্তি এমন থাকেন যারা নিজ থেকে কোন সমস্যার সমধান সচেষ্ট হয় না, তাদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি অধিক কার্যকরী হয়।

 

প্রত্যক্ষ পরামর্শদানের অসুবিধা

  1. এই কৌশলে পরামর্শগ্রহীতা পরামর্শদাতার উপর অধিক নির্ভরশীল হওয়ায়, বাস্তবিক ক্ষেত্রের যেকোনো সমস্যার সমাধানে তিনি অক্ষম।
  2. পরামর্শদাতার ভূমিকা প্রধান হওয়ায়, অন্ধ অনুসরণের প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়।
  3. ব্যক্তির আবেগ, অনুভূতিগুলি উপেক্ষিত হয়।
  4. পরামর্শদাতা যদি অনভিজ্ঞ হন, তবে সফলতার সম্ভাবনা থাকে খুবই কম।
  5. এই প্রক্রিয়াতে ব্যক্তির অন্তর্দৃষ্টি জাগরণের চেষ্টা করা হয় না। 

 

 

পরোক্ষ পরামর্শদান (Non-directive Counselling)

Carl Rogers হলেন এই প্রকার কৌশলের উদ্ভাবক। এই কৌশলের উৎস হল কার্ল রজার্স-এর “Self theory”, এখানে বলা হয়েছে একজন ব্যক্তি তার জগৎ-কে নিজের মত করে প্রত্যক্ষ করে। সেহেতু এই প্রকার পদ্ধতি বা কৌশলে ব্যক্তির অন্তর্দৃষ্টি জাগরণের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। তাই একে পরামর্শগ্রহীতাকেন্দ্রিক কৌশলও বলা হয়ে থাকে। 

 

যে প্রকার পদ্ধতিতে ব্যক্তির মধ্যকার সমস্যাগুলি সরাসরি সমাধান না করে অন্তর্দৃষ্টি জাগরণের মধ্যেদিয়ে উপস্থিত বাঁধাগুলি সম্পর্কে অবহিত করে ব্যক্তিকে নিজ সমস্যার সমধানে উৎসাহিত করার প্রক্রিয়াই হল পরোক্ষ পরামর্শদান।

 

পরোক্ষ পরামর্শদান কৌশল সম্পর্কে আরও বিস্তারিত ধারণা আয়ত্ত্ব করতে হলে, এর বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করা প্রয়োজন, যে গুলি নিম্নে উল্লেখ করা হল-

  1. পরোক্ষ পরামর্শদান প্রক্রিয়ায় একজন ব্যক্তির আবেগ, অনুভূতি, ইচ্ছা-অনিচ্ছা, চাহিদা ইত্যাদি বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়। তাই একে পরামর্শগ্রহীতাকেন্দ্রিক কৌশলও বলা হয়ে থাকে।
  2. এই প্রকার কৌশলে পরামর্শগ্রহীতাকে সম্পূর্ণরূপে স্বাধীনতা দেওয়া হয়ে থাকে। সেহেতু পরামর্শগ্রহীতা সক্রিয় ভূমিকা পালন করে থাকেন।
  3. এই প্রকার পদ্ধতি বা কৌশলে ব্যক্তির অন্তর্দৃষ্টি জাগরণের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। সেহেতু ব্যক্তি নিজ থেকে সমস্যার সমাধানে সচেষ্ট হয়।
  4. এক্ষেত্রে পরামর্শদাতাকে সম্পূর্ণরূপে পরামর্শগ্রহীতার আস্থা অর্জন করতে হয়।
  5. এই প্রকার কৌশল ব্যক্তির আত্মপলব্ধি ও আত্মবিকাশের উপর গুরুত্ব আরোপ করে থাকে।
  6. এক্ষেত্রে সমস্যার কারণ অনুসন্ধানের জন্য কোনোপ্রকার মনোবৈজ্ঞানিক অভীক্ষার প্রয়োজন হয় না।
  7. এই প্রকার কৌশল বৌদ্ধিক স্তর অপেক্ষা প্রাক্ষোভিক স্তরে অধিক কার্যকরী।

 

পরোক্ষ পরামর্শদানের বিভিন্ন স্তর

Carl Rogers পরোক্ষ পরামর্শদানের ক্ষেত্রে সাতটি স্তরের উল্লেখ করেছেন, যে গুলি নিম্নে উল্লেখ করা হল- 

 

পরোক্ষ পরামর্শদানের সুবিধা

  1. আবেগীয় ব্লকগুলি সরিয়ে, স্বাভাবিক চিন্তাভাবনা করতে উৎসাহ দেয়, এবং উত্তেজনাকে হ্রাস করে।
  2. দীর্ঘ সময়ের জন্য চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন আনে।
  3. পরামর্শদানের কেন্দ্রবিন্দু হল পরামর্শগ্রহীতা, পরামর্শদাতা নয়।
  4. ক্যাথারসিসের (catharsis) কারণে উত্তেজনাগুলি দূর করতে সহায়তা করে।
  5. বাইরের কারোর দ্বারা তাড়িত না হয়ে, নিজ থেকে সমস্যার সম্মুখীন হয়ে, সমস্যার সমধানে সচেষ্ট হয়।

 

পরোক্ষ পরামর্শদানের অসুবিধা

  1. ব্যক্তির অনুভূতির উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করায়, ব্যক্তির বৌদ্ধিক ও জ্ঞানমূলক দিকটি অবহেলিত হয়।
  2. এই প্রক্রিয়াতে ব্যক্তির অন্তর্দৃষ্টি জাগরণের চেষ্টা করা হয় বলে, প্রচুর সময়ের প্রয়োজন হয় এবং খুবই ধীর গতিতে সম্পন্ন হয়।
  3. কখনও কখনও পরামর্শদাতার নিস্ক্রিয়তার কারণে, ক্লায়েন্ট তার অনুভুতি প্রকাশে দ্বিধা বোধ করে।
  4. যারা নিজে থেকে সমস্যার সমাধান করতে কিংবা নিজের দায়িত্ব গ্রহণে অক্ষম, তাদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি একেবারেই ফলপ্রসূ নয়।
  5. এই প্রকার পদ্ধতিতে বহুক্ষেত্রে পরামর্শদাতার ব্যক্তিগত প্রভাব পরিলক্ষিত হয়।



 

সমন্বয়ী পরামর্শদান (Eclectic Counselling)

এই পদ্ধতির উদ্ভাবক হলেন মনোবিদ Bordin, তিনি তার তত্ত্বে E. G. Williamson-এর প্রত্যক্ষ পরামর্শদান পদ্ধতি এবং Carl Roger-এর পরোক্ষ পরামর্শদান পদ্ধতির সংমিশ্রন ঘটিয়েছেন। সেহেতু প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পরামর্শদান পদ্ধতির সংমিশ্রণে গঠিত পদ্ধতিটি হল সমন্বয়ী বা ঐচ্ছিক পরামর্শদান।

 

Eclectic কথাটির অর্থ হল দুই বা ততোধিক পদ্ধতির সমন্বয় সাধন, যার দ্বারা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর কাজ সহজতর হয়। মনোবিজ্ঞানী বর্ডিন মনে করতেন, কোন ব্যক্তির সমস্যার সমাধান যেকোনো একটি কৌশল কিংবা পদ্ধতিকে অবলম্বন করে সম্ভব নয়, পদ্ধতির মধ্যে সমন্বয় সাধন প্রয়োজন। এক্ষেত্রে তিনি ব্যক্তির সমস্যার সমাধান হওয়াকে গুরুত্ব দিয়েছেন, কোন পদ্ধতিতে তা সম্ভব হল সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। এক্ষেত্রে একজন পরামর্শদাতা রোগীর সম্মুখীন হয়ে তাকে যথাযথভাবে পর্যবেক্ষণ করে ঠিক করবেন, একটি কৌশল প্রয়োগ করবেন নাকি একত্রে দুটি পদ্ধতি প্রয়োগ করবেন।

 

সমন্বয়ী পরামর্শদান কৌশল সম্পর্কে আরও বিস্তারিত ধারণা আয়ত্ত্ব করতে হলে, এর বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করা প্রয়োজন, যে গুলি নিম্নে উল্লেখ করা হল-

  1. এই প্রকার পদ্ধতিতে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ কোন একটির উপর এককভাবে গুরুত্ব আরোপ করা হয় না।
  2. এই প্রকার পদ্ধতিতে মনোবৈজ্ঞানিক অভীক্ষার প্রয়োগ করা হয়, সাথেসাথে আলাপআলোচনার মাধ্যমেও তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
  3. এই প্রকার পদ্ধতিতে পরামর্শগ্রহীতা যদি নিজ সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয়, তবেই পরামর্শদাতা তাকে সাহায্য করে থাকেন।
  4. কোন পদ্ধতিটি পরামর্শগ্রহীতার কাছে অধিক ফলপ্রসূ হবে, তা পরামর্শদাতা নির্ধারণ করে থাকেন।
  5. এই প্রকার পদ্ধতির প্রধান কাজ হল পরিস্থিতি, ব্যাক্তির প্রয়োজন ও চাহিদা সাথে পরামর্শদান কৌশলের সংগতি রক্ষা করা। 


 

সমন্বয়ী পরামর্শদানের বিভিন্ন স্তর

এই প্রকার পদ্ধতিতে যে স্তর গুলি অনুসরণ করা হয়, সেগুলি নিম্নে উল্লেখ করা হল- 

 

সমন্বয়ী পরামর্শদানের সুবিধা

  1. এই প্রকার পদ্ধতির ব্যবহারিক মান অনেক বেশি।
  2. এই প্রকার পদ্ধতিতে পরামর্শদাতা এবং পরামর্শগ্রহীতা উভয়ই সক্রিয় থাকেন।

 

সমন্বয়ী পরামর্শদানের অসুবিধা

  1. কিছু ব্যক্তি মনে করেন, এই প্রকার পরামর্শদান কৌশল অস্পষ্ট, সুবিধাবাদী ও অগভীর।
  2. প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ পদ্ধতিকে একসাথে প্রয়োগ করা সম্ভব নয়।
  3. একজন পরামর্শগ্রহীতাকে কতটা স্বাধীনতা দেওয়া উচিত, তার কোন স্পষ্ট নিয়ম নেই।
  4. পরামর্শদাতা কর্তৃক সমস্যার প্রকৃতি বিচারে ভুল হলে, শেষমেষ পরামর্শগ্রহীতাকেই তার খেসারত দিতে হয়। 

 

নির্দেশনা ও পরামর্শদানের মধ্যে পার্থক্য 

নির্দেশনা হল এমন ধরনের সাহায্যদানের প্রক্রিয়া, যার সাহায্যে শিক্ষার্থী তার লক্ষ্য স্থির করতে পারে, নিজের আগ্রহ ও ক্ষমতা অনুযায়ী বিভিন্ন পরিবেশের সাথে সঙ্গতিবিধান করে চলতে পারে, নিজের সামর্থ্য ও সম্ভাবনাকে সঠিকভাবে নিজে বুঝতে পারে,নিজের সমস্যা নিজে সমাধান করতে পারে এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা অর্জন করতে পারে।

 

পরামর্শদান হল এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে পরামর্শদাতা ও পরামর্শগ্রহীতার মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপনের মধ্যেদিয়ে, পরামর্শগ্রহীতার সমস্যামূলক দিকটি চিহ্নিত করে এবং তার সমাধানকল্পে তাকে সিধান্তগ্রহনে সহায়তা করে। 
 

উপরি দুটি সংজ্ঞা বিশ্লেষণে বলা যায়, দুইয়ের মধ্যে নানান সাদৃশ্য থাকার সম্ভাবনা আছে। এছাড়া পরামর্শদান হল নির্দেশনার একটি অংশমাত্র। তা সত্ত্বেও দুইয়ের মধ্যে বেশ কিছু বৈসাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়, যে গুলি নিম্নে উল্লেখ করা হল– 

 

 

 

 

 

গ্রন্থপঞ্জি-
  • পাল, দেবাশিস। নির্দেশনা ও পরামর্শ। সেন্ট্রাল লাইব্রেরী, পৃষ্ঠা : ৭৫-৯২
  • ঘোষ, ড. সনৎ কুমার। শিক্ষায় সঙ্গতি-অপসঙ্গতি এবং নির্দেশনা। ক্লাসিক বুকস্, পৃষ্ঠা : ৩১৪-৩৩৫
  • মণ্ডল, ভীম চন্দ্র। শিক্ষায় নির্দেশনা ও পরামর্শের রূপরেখা। সোমা বুক এজেন্সী, পৃষ্ঠা : ২১৭-২২৬
  • ইসলাম, ড. নূরুল। শিক্ষায় মূল্যায়ন ও নির্দেশনা। শ্রীধর প্রকাশনী, পৃষ্ঠা : ২৩১-২৩৬
  • আচার্য, অধ্যাপক পূর্ণেন্দু। শিক্ষাক্ষেত্রে মূল্যায়ন ও নির্দেশনা। শ্রীতারা প্রকাশনী, পৃষ্ঠা : ১০৩-১১৩ 

 ____________________________

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *